Header Ads

বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫: যে অর্জনগুলো বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গড়বে I ১৫০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তিসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন

বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এপ্রিল মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনটি বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) এর আয়োজনে সফলভাবে সম্পন্ন হয়। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারী, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫, ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টালে ৭-১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত, ছিল দেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তনের এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম। এই সম্মেলনে অংশ নেয় বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আগত বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়িক নেতা ও নীতিনির্ধারকরা।

সম্মেলনের অন্যতম অর্জনের মধ্যে ছিল চীনা কোম্পানি হান্দার সঙ্গে ১৫০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি, যা ভবিষ্যতে আরও বিদেশি বিনিয়োগ টানার পথ খুলে দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মানসুরের বক্তব্যে উঠে এসেছে আগামী দশকে ১০টি ইউনিকর্ন প্রতিষ্ঠানের স্বপ্ন। ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা ছিল আরেকটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

এসব অর্জন বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ও ডিজিটাল অর্থনীতির ভিত্তি শক্ত করবে। এখন সময় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের একসঙ্গে কাজ করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় শরিক হওয়ার।

🔹 সম্মেলনের প্রধান অর্জনসমূহ:

১. আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ
সামিটটি উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বিশ্ব বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের পরিবর্তনযাত্রায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা আপনাদের আহ্বান জানাই এই যাত্রায় শামিল হতে, শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়, বরং গোটা পৃথিবীকে বদলে দেওয়ার জন্য।”

২. নীতিগত সংস্কার ও ডিজিটাল অধিকারের ঘোষণা
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ফাইজ আহমাদ তাইয়্যব ঘোষণা দেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের অধিকারকে নাগরিক অধিকার হিসেবে ঘোষণা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ২০০১ সালের টেলিযোগাযোগ আইন সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে যাতে ভবিষ্যতে ইন্টারনেট বন্ধ করার প্রবণতা বন্ধ হয়।

৩. স্টার্টআপ ও আর্থিক খাতের প্রবৃদ্ধি
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মানসুর বলেন, “আমরা চাই আগামী দশকে অন্তত ১০টি বিকাশের মতো ইউনিকর্ন কোম্পানি বাংলাদেশে তৈরি হোক।” এই বক্তব্য বাংলাদেশের স্টার্টআপ খাতের বিকাশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অঙ্গীকারের প্রতিফলন।

৪. বৈদেশিক বিনিয়োগ চুক্তি
সামিট চলাকালে চীনা তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হান্দার সঙ্গে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে বিডার গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির নিদর্শন।

৫. বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান
সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে চারটি প্রতিষ্ঠানের হাতে “বিনিয়োগে বিশেষ অবদানের জন্য” পুরস্কার তুলে দেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এর মাধ্যমে দেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়।

৬. টেকসই উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ
সামিটে পরিবেশবান্ধব এবং সামাজিক দায়বদ্ধ বিনিয়োগ (ESG) নীতিমালার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই উদ্যোগ বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDG) অর্জনের প্রতি প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে।

বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫ দেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ, উন্নত নীতিমালা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার এক নতুন মাইলফলক। এই সম্মেলনের মাধ্যমে যে অর্জনগুলো হয়েছে, তা শুধু বর্তমানের নয়, ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথনির্দেশকও বটে।

এক নজরে সম্মেলনের গুরুত্বপূর্ণ অর্জনগুলো 👇

✅ $150M বিনিয়োগ চুক্তি (Handa, China)
✅ ডিজিটাল অধিকার: ইন্টারনেট হবে নাগরিক অধিকার
✅ ইউনিকর্ন লক্ষ্য: পরবর্তী ১০ বছরে ১০টি bKash-এর মতো কোম্পানি!
✅ ৪টি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা
✅ SDG ও ESG-ভিত্তিক বিনিয়োগে জোর

📣 বাংলাদেশ বদলাচ্ছে, আপনি কি প্রস্তুত?

#BangladeshInvestmentSummit2025 #BDInvests #DigitalBangladesh #StartupBangladesh #ESG #FDI


No comments

Powered by Blogger.